ডেস্ক রিপোর্ট ◑ সিলেটে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে দুই জন নিহত হয়েছেন। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে শনিবারই (২২ ফেব্রুয়ারি) স্বজনদের হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক আহমদ।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা জানান, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কের মরমপুর-সুরিরখাল এলাকার মধ্যবর্তী জায়গায় গাছ কেটে সড়কে ফেলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো অস্ত্রধারী একটি ডাকাত দল। এসময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশ্বনাথ থানার এসআই মিজানুর রহমান কনস্টেবল চন্দন গৌর ও রাসেল দাসকে নিয়ে এলাকা টহল দিচ্ছিলেন। ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের গাড়ি দেখতে পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি করতে শুরু করে। এতে পুলিশ সদস্যরা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা পুলিশের একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুলিশের উপস্থিতি বাড়ছে টের পেয়ে ডাকাত দল দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি করে। পরে এক জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওসি শামীম মুসা আরও জানান, ডাকাত দলের হামলায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ নিহত ডাকাতের পরিচয় পায়নি। সে বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।
নিহত ব্যক্তি যে ডাকাত দলেরই সদস্য তা কীভাবে শনাক্ত করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডাকাতির উদ্দেশ্যে তারা একত্রিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের অভিযানের পর স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশি করলে স্তূপ করা মাটির ওপর একজনের লাশ পায়। এসময় ওই ডাকাত সদস্যের হাত থেকে একটি দেশীয় পাইপগান ও কোমরে থাকা তিনটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।’
অপরদিকে (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে গোলাপগঞ্জের কদুপুর এলাকায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আলী হোসেন নামের একজন নিহত হয়েছেন। এসময় একজন র্যাব সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আলী হোসেনকে ধরতে র্যাব-৯ অভিযান চালালে সে তার দলবল নিয়ে গুলি ছোঁড়ে। এসময় র্যাব পাল্টা গুলি চালালে আলী হোসেন নিহত হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-